জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে আরও দুই ধাপ। গতবছরের তুলনায় দুই ধাপ এগিয়ে এবার ১৮৯ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অনস্থান ১৩৩।
যদিও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির
‘দ্য হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট’ প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের
অবস্থান পঞ্চম। অন্যদিকে পরিবেশ ও প্রকৃতির সুরক্ষায় গুরুত্ব না দেওয়ায় মানব উন্নয়ন
সূচকে শীর্ষে থাকা অনেক দেশ ছিটকে পড়েছে এবার।
মানব উন্নয়ন
সমীক্ষা ২০২০ এর ‘দ্য নেক্সট ফ্রন্টিয়ার: হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড এনথ্রোপোসিন’ শীর্ষক
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘মানব উন্নয়নে বাংলাদেশের অর্জন অসাধারণ। ১৯৯০ হতে ২০১৯ সাল
পর্যন্ত, মানব উন্নয়ন সূচক শতকরা ৬০ দশমিক ৪ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে’। প্রতিবেদনটিতে আরও
বলা হয়েছে, ‘১৯৯০-২০১৯ সাল নাগাদ বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু বেড়েছে ১৪.৪
বছর, গড় শিক্ষাকাল বেড়েছে ৩.৪ বছর এবং প্রত্যাশিত শিক্ষাকাল বেড়েছে ৬ বছর। এছাড়া এসময়ে
মাথাপিছু আয়ের পরিমাণও বেড়েছে প্রায় শতকরা ২২০.১ ভাগ’।
মানব উন্নয়ন
সূচক ২০২০-এ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে পরিবেশ ও প্রকৃতির সুরক্ষার ওপর। এই প্রেক্ষিতে এবারের
সমীক্ষায় যুক্ত করা হয়েছে- কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণের মাত্রা ও মোট ব্যবহৃত সম্পদের
পরিমাণ। ফলে পরিবেশ ও প্রকৃতির সুরক্ষায় গুরুত্ব না দেওয়ায় ৫০টির ও বেশি দেশ মানব উন্নয়ন
সূচকের শীর্ষস্থান থেকে ছিটকে পড়েছে। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির প্রধান আকিম স্টেইনার
বলেন, “পৃথিবীর প্রতিটি দেশই পরিবেশেকে ধ্বংস করে মানব উন্নয়নে সমৃদ্ধি লাভ করেছে।
তবে প্রথম প্রজন্ম হিসেবে আমরা এই ভুল সংশোধনে এগিয়ে আসতে পারি। এটিই হওয়া উচিত মানব
উন্নয়নের পরবর্তী পদক্ষেপ।”
মানুষের
সুস্থ জীবন সুন্দর পরিবেশের ওপর নির্ভরশীল। এক্ষেত্রে পরিবেশ বিনষ্ট হলে মানুষের জীবন
ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। তবে অনেকেই পরিবেশকে তুচ্ছ করে জীবন যাত্রার মান বৃদ্ধি করতে উদ্যমী।
গাছ কেটে ভবন নির্মাণ, প্রাকৃতিক সম্পদের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার, জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর
অধিক নির্ভরশীলতা সহ আরও অনেক ভাবেই ধ্বংস করা হচ্ছে পরিবেশকে। এভাবে পরিবেশেকে ধ্বংস
করে মানব উন্নয়নে সমৃদ্ধি লাভ করা, দীর্ঘ মেয়াদে মানব উন্নয়ন হ্রাস করার শামিল।