অস্ট্রেলিয়াকে তাদের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড উপহার দিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর নিউজিল্যান্ড সে উপহার পেয়েছে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই। তবে বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রা বেশ বড়সড় হোঁচট খেল আজ.
সিরিজ জিততে ১২৯ রান তাড়া করতে নেমে যে নিজেরাই এবার সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডের সামনে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ! শেষ পর্যন্ত ২০১৬ সালে কলকাতায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই ৭০ রানে গুটিয়ে যাওয়ার রেকর্ডটা এড়াতে পারলেও বড় পরাজয় আটকাতে পারেনি।
ঘরের মাঠে সর্বনিম্ন রানে গুটিয়ে যাওয়ার রেকর্ডও হয়ে গেল সেই সঙ্গে। ঘরের মাঠে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে। ২০১১ সালে ৯ উইকেট হারিয়ে ৮৫ রান করেছিল বাংলাদেশ। আজ বাংলাদেশকে নতুন লজ্জা উপহার দিয়ে ৫২ রানের জয়ে সিরিজে ফিরে এসেছে কিউইরা।
নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের সময় উইকেট অবশ্য আগের দুই ম্যাচের তুলনায় বেশ ভালোই মনে হয়েছে। আগের দিন মাহমুদউল্লাহ বলেছিলেন, ফ্লাডলাইটে ব্যাটিং করা আরও সহজ ছিল। শুরুটা ভালো করেছিলেন মোহাম্মদ নাঈম ও লিটন দাস। তবে জোর করে বড় শটের চেষ্টা বুমেরাং হয়ে গেছে বাংলাদেশের। গতকালই রচিন রবীন্দ্র বলেছিলেন, এ উইকেটে ক্রিকেটীয় শট খেলতে হবে, শট বানানোর উপায় নেই। সে কাজ করতে গিয়ে ৭ বলের ব্যবধানে প্রথম ৩ উইকেট হারানোর চাপ আর সামাল দিতে পারেনি বাংলাদেশ।
প্রথম ওভারের শেষ দুই বলে চার মেরেছিলেন মোহাম্মদ নাঈম। লিটনও শুরুতে ছন্দে ছিলেন, তবে এমন উইকেটে টানা শটের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত কাল হয়েছে তাঁর। কোল ম্যাকনকিকে সুইপ করে দুটি চার মারার পর আবারও স্লগের চেষ্টা করেছিলেন, তবে গতি কমিয়ে আনা বল মিস করে তিনি হয়েছেন এলবিডব্লু।
বাংলাদেশের ধস শুরু হয়েছে আদতে লিটনের উইকেট দিয়েই। ২.৪ ওভারে ২৩ রানে বিনা উইকেট থেকে বাংলাদেশ খেই হারাতে সময় নেয়নি বেশি। তিনে আসা মেহেদী হাসান স্বস্তিতে ছিলেন না মোটেও। এজাজ প্যাটেলকে জোরের ওপর ঘুরিয়ে খেলতে গিয়ে শর্ট মিড উইকেটে হেনরি নিকোলসের হাতে ধরা পড়েছেন। বড় শট খেলে চাপ কমানোর চেষ্টা করেছেন সাকিব, সফল হয়নি সেটাও। প্যাটেলের ওই ওভারেই এগিয়ে এসে খেলে ক্যাচ তুলে ফিরেছেন। পাওয়ার প্লে–তে বাংলাদেশ তুলতে পেরেছে ৩০ রান।